খানসামা উপজেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতির চর্চার দিক দিয়ে আবহমানকাল থেকেই ঐতিহ্যবাহী। এ উপজেলার সংস্কৃতিমনা লোকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে জনগণকে বিনোদন প্রদান করেছে। খানসামা উপজেলায় আদিকাল থেকেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী বসবাস করে আসছে এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই আদিবাসীরা সবসময় একটি স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে এসেছে। একসময় পাকেরহাট নামক স্থানে একটি কালচারাল একাডেমী উপজেলার সাংস্কৃতিক বিকাশে বেশ ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর গঠণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ঐতিহ্যগত আচার অনুষ্ঠানদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, এখানকার মানুষ শিল্প সংস্কৃতির প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী ।
পহেলা বৈশাখ, চৈত্রসংক্রান্তি, বর্ষাবরণ, পহেলা ফাল্গুন, নবান্ন পালন, আদিবাসীদের (সাঁওতালদের) ৩০ শে জুনের হুল উৎসব, হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা পার্বন এবং মুসলমানদের ঈদ উদযাপনের সময় এ উপজেলায় বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঢাঁক, ঢোল, কাসর, তোরংগ, বাঁশী এ এলাকার বেশ জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র।
মেলা-পার্বনঃ
বহু প্রাচীনকাল থেকে খানসামার বুড়াখাঁ পীরের মেলাটি বেশ বিখ্যাত। এ গ্রাম্য মেলাতে উন্নতজাতের গবাদি পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা ও যাত্রা থিয়েটার, সার্কাসের মাধ্যমে লোক বিনোদনের সমারোহপূর্ণ আয়োজন থাকত। একালেও তা অব্যাহত রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস