Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাংলাদেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী, দিনাজপুর-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য। আবুল হাসান মাহমুদ আলী (জন্ম: ২ জুন ১৯৪৩) হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও কুটনৈতিক।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী দশম জাতীয় সংসদের সদস্য এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ আসনে বিজয়ী হন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত বর্তমান বাংলাদেশের দিনাজপুরের খানসামার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ১৯৬২ সালে বি.এ. এবং ১৯৬৩ সাল এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। এর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত অর্থনীতির প্রভাষক ছিলেন।[২] ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিস (পিএফএস)-এ যোগ দেন। দেশে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কাজের পাশাপাশি বিদেশের বিভিন্ন মিশনে যেমন নিউ ইয়র্ক, নয়াদিল্লি, বেইজিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি । আবুল হাসান মাহমুদ আলী ভুটান (১৯৮৬–১৯৯০) ও জার্মানিতে (১৯৯২–১৯৯৫) বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে (১৯৯৬–২০০১) হাইকমিশনারও ছিলেন। অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (দ্বিপাক্ষিক) হিসেবে ভারতের সঙ্গে তিন বিঘা করিডোর ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্টের (১৯৯২) আলোচনা ও স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে কূটনৈতিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেন তিনি। ১৯৭১ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি নির্বাচিত হন তিনি।[৩]  


মরহুম হাসান আলী (জন্ম ১৮৯৫-মৃত্যু ১৯৮১) দীর্ঘ ষাট বছর বৃহত্তর দিনাজপুর তথা বৃহত্তর উত্তর বাংলার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন, তিনি বাংলাদেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পিতা । বৃটিশ ভারতে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলা বোর্ডের প্রথম ভাইস-চেয়ারম্যান ও পরে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে ও ১৯৪৬ সালে কলিকাতায় অবিভক্ত বাংলা বিধান সভায় নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পরে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন ও যোগাযোগ মন্ত্রী নিযুক্ত হন। (১৯৪৭-৫৪)। তিনি সমগ্র উত্তর বাংলার একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী রুপে সারা বাংলাদেশের ৭ হাজার মাইল মহাসড়কের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন ও বাস্তবায়ন শুরু করেন।