পুষ্টিকর এ ফলটি বিশ্বের অন্যতম লোভনীয় ও সুস্বাদু। লিচু গন্ধ ও স্বাদের জন্য দেশে বিদেশে বেশ জনপ্রিয়। খানসামা উপজেলার প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে লিচুর চাষ হয়। হেক্টর প্রতি ফলন ২.৫ থেকে ২.৭ মে.টন। মোট উৎপাদন প্রায় ১৬৫০ মে.টন। লিচুতে প্রচুর পরিমানে আমিষ, ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি রয়েছে। কাশি, ব্যথা, টিউমার, এবং গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু ফল কার্যকর। চর্ম রোগের ব্যথায় লিচুর বীজ ব্যবহৃত হয়। উপজেলায় চাষকৃত লিচুর জাতগুলোর মধ্যে মাদ্রাজী, বোম্বাই, বেদানা, চায়না-২(কাঠালী), চায়না-৩, কাঠালী, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। উঁচু নিকাশ যুক্ত উর্বর বেলে ও বেলে দোআঁশ মাটি লিচু চাষের জন্য উত্তম। খানসামা উপজেলার ভাবকী ও খামারপাড়া ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু চাষ হয়। জুন হইতে সেপ্টেম্বর মাসে মাটি ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরী করে বর্গাকার ও ষড়ভূজ পদ্ধতিতে ৪-৫ ফিট উঁচু লিচু চারা রোপন করতে হয়। সঠিক পদ্ধতিতে সুষম সারের ব্যবহার, পানি সেচ, ডাল ছাটাইকরন, মুকুল ভাঙ্গা ও রোগ বালাই দমন করলে প্রায় ৫ বৎসরে লিচু গাছে ফলন পাওয়া যায়। এ সময় লিচু গাছে ভাল যত্ন নিতে হয়। ফলের গায়ে লালচে রঙয়ের ছোপ দেখার পর পরই মঞ্জুরীর গোড়া থেকে ডাল ভেঙ্গে লিচু থোকায় থোকায় সংগ্রহ করতে হয়। প্রতি হেক্টর লিচুর বাগান থেকে দেড় লক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস